অন্যায়ের প্রতিবাদ করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। এটা সাংবিধানিক অধিকার। যিনি খুন হয়েছেন, তার কি একটাই পরিচয়, ডাক্তার? তিনি আমাদের সহ নাগরিক ছিলেন না? তিনি এই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার অসুরক্ষিত পরিবেশের শিকার নন?কৃষক মৃত্যু হলে শুধু কৃষকরাই আন্দোলন করবে? একজন আইনজীবীকে ধর্ষণ করে খুন করা হলে গোটা সমাজ মুখ ফিরিয়ে থাকবে, এটা আইনজীবীদের সমস্যা বলে?যারা মানবাধিকারের পক্ষে কিন্তু কোনও রাজনীতির সঙ্গে যোগ নেই তাদের আটকে দেওয়া যায় না। কোনও সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠান কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সম্পত্তি নয়, জনগণের। প্রতিবাদকারীর গলা টিপে দেওয়া উচিৎ নয়। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের রাজনৈতিক রুটি গরম করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রতিবাদকারীদের বাধা দেওয়া, সহ নাগরিকের প্রতিবাদের অধিকারকে অস্বীকার করার নামান্তর। যা মানবাধিকারের পরিপন্থী। প্রতিবাদ হোক সর্বস্তরে কিন্তু ক্যাম্পাস থাক সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে, রাজনৈতিক ঝাণ্ডা মুক্ত।